কাজের সুত্রে আমাদের অনেককেই বাইরে ঘোরাফেরা করতে হয়। অতিরিক্ত রোদে থাকলে ত্বকের ওপর বিভিন্ন প্রকারের দাগ ছোপ দেখা দেয়। প্রথমেই বলব যদি অতিরিক্ত সমস্যা হয় তাহলে একবার ত্বক বিশেষজ্ঞর সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য আমি কয়েকটা ঘরোয়া উপায় বল
- প্রথমত যেটা সবাই করতে বলেন সেটা হল সানব্লক ক্রিম লাগিয়ে বের হতে হবে।যদিও আমি কোনোদিনও এই ক্রিম ব্যবহার করিনি তাই এর ভালো মন্দ, উপকার অপকারের ব্যাপারে খুব একটা জানিনা।আমি বেশি প্রসাধনী ব্যবহারের পক্ষপাতী নই তাই বরাবর এই সব বাদ দিয়ে এসেছি।
- ত্বকের যত্ন নিয়মিত নিতে হবে।সপ্তাহে অন্তত দু'দিন স্ক্রাব করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত ক্লিন্সিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং করতেই হবে।
- জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে ত্বক ভিজিয়ে রাখতে হবে ১০ মিনিট।তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।
- সাদা ভিনেগারে তোয়ালে ডুবিয়ে রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকে চেপে চেপে ১০/১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যায়।
- গ্রিন টি লিকারে তুলো ডুবিয়ে আক্রান্ত ত্বকে লাগিয়ে রেখে দিলে দাগ কমে যায়।
- রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকে টক দই লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেও উপকার পাওয়া যায়।
- স্নানের আগে ৩০ মিনিট দাগ ধরা ত্বকে ভালো করে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেললে দাগ অনেক কমে যায়।
- সব থেকে কার্যকরী আর আমি যেটা করে উপকার পেয়েছি টা হল টমেটোর রসের ব্যবহার। টমেটো চাকা করে কেটে ত্বকে অনেকক্ষণ ধরে ঘষতে হবে। এই অবস্থায় ঘণ্টা খানেক রেখে দিতে হবে। টমেটোর রস প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে ।তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।
- আলুর রস ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে। ১০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অতিরিক্ত সূর্যালোক ত্বকের মত চুলেরও প্রচুর ক্ষতি করে। চুলের ডগা ফেটে যাওয়া থেকে শুরু করে চুল লাল ও রুক্ষ হয়ে যায়। আমার এই অবস্থা হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। আমি যা যা করেছিলাম সেগুলোই বললাম ।
- একটা কথা আছে। "তেলে চুল তাজা"। তাই রোজ রাতে নারকোল তেল অল্প গরম করে সারা মাথায় ভালো করে মালিশ করতে হবে। চুলের গোড়া থেকে ডগা অবধি যেন তেল পৌঁছায়। ভার্জিন কোকোনাট তেল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
- আমি রোজ শ্যাম্পু করার পক্ষপাতি নই। তাই খুব অসুবিধা না হলে রোজ শ্যাম্পু করা উচিত হবে না। একদিন/দুদিন অন্তর করলে ভাল হয়।
- চুলের ক্ষেত্রে হাবিজাবি বাজারজাত কেমিক্যাল জিনিস না ব্যবহার করাই উচিত। শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার সব ভেষজ ব্যবহার কড়াই উচিত। আমাদের বিভিন্ন দেশীয় ভালো ভেষজ শ্যাম্পু পাওয়া যায়।
- প্রথম দিকে সপ্তাহে একদিন, পরে দু'সপ্তাহে একদিন করে হেনা অবশ্যই করতে হবে। হেনা করার সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। হেনা করার পর চুলে কন্ডিশনার লাগানো অত্যন্ত আবশ্যক।
- চুলের ডগা বেশি ফেটে গেলে একটু কেটে নিতে হবে। চুল বাঁধার সময় বেশি শক্ত করে বাঁধা উচিত না।
- ভিজে চুল আঁচড়ানো চলবে না। চুল প্রথমে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে পড়ে সরু দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে হবে। নাহলে চুল ছিঁড়েও যায় আর ফলিকল ক্ষতিগ্রস্তও হয়।
- চুলের প্রকৃতি বুঝে সপ্তাহে একদিন কোনও প্যাক ব্যবহার করা যায়। তবে এতে খুব একটা উপকার হয় বলে মনে হয় না।
- মাস খানেক এইভাবে যত্ন নিলে উপকার পাওয়া যায়।
Post a Comment