বার্ধক্য রোধ করতে কি খাবার গ্রহণ করা উচিত

শাক সবজি লতা পাতা খেলে বুড়া হলেও বুড়া মনে হবে না।

আসুন জেনে নেই  বার্ধক্য রোধ করতে কি খাবার গ্রহণ করা উচিত 


সিগারেট খাওয়া বন্ধ করলে আপনি দেখতে ৪৫ বছরেও ৩৫ বছরের লোকের মতো লাগবেন।


লাল ও সবুজ শাকে থাকে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট। যা আপনার তারুন্য ধরে রাখবে অনেক বছর। তবে মাঝে মাঝে খেলে হবে না। খেতে হবে নিয়মিত।




শাকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ খায় লাল শাক। এই শাক রান্না করার চেয়ে ভাজি খাবেন। অনেক সুস্বাদু। একটু রসুন, একটু পেয়াজ, অনেকগুলো লাল শাক কুচি, দুটো শুকনো মরিচ, একটু লবন ও সামান্য তেল। বাস। হয়ে গেলো। শাকে কখনো বেশি পানি দিতে নেই। শাকের ভিটামিন কমে যায়। শাক থেকে যেই পানি বের হবে সেটা দিয়ে শাক ভাজা হয়ে যাবে।

বার্ধক্য রোধ করতে কি খাবার গ্রহণ করা উচিত


লাল শাকের পরে সবচেয়ে মজার শাক হচ্ছে কচুর শাক।


কচুর শাকে অনেক অনেক বেশি আয়রন পাওয়া যায়। সাথে আরো অনেক এন্টি অক্সিডেন্টতো আছে।


কচুর শাক চুলকানির জন্য ভয়ে অনেকে খায় না। এটা করা যাবে না। কচুর শাক রান্নার আগে কিছুটা ভাপ দিয়ে নিলে গলায় চুলকাবে না।


মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। মায়ের হাতের রান্নার মজা অন্যরকম। সেই রেসিপি শেয়ার করছি।


কচুর শাক ইলিশ মাছ বা ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে সবচেয়ে সুস্বাদু হয়। ইলিশ মাছের ওমেগা থ্রি তেল আপনার তারুন্য ধরে রাখবে। হার্ট ভালো রাখবে। সেই সাথে কচু শাকের গুনাগুন তো আগেই।


বার্ধক্য রোধ করতে কি খাবার গ্রহণ করা উচিত


কচু ইলিশ রান্নার প্রনালীঃ


১. প্রথমে মাছের টুকরাগুলোকে একটু হলুদ লবন দিয়ে ভাজি করবেন। খেয়াল রাখবে কড়া ভাজা যাতে না হয়।


২. কচুর শাক কুচি করে কেটে চুলায় ১০ মিনিটের জন্য একটু ভাপ দিন। ভাপ দেয়ার সময় সামান্য পানি দিন। না দিলেও চলে। ভাপ দিলে কচুর চুলকানির কারন থাকবে না।


৩. এবার একটা কড়াইতে সরিষার তেল দিন। তেলে রসুন কুচি দিন। শুকনো লাল মরিচ কুচি করে দিন, সামান্য পাচ ফোড়ন দিন। কালো জিরা ফোড়ন দিন সামান্য পরিমান। পেয়াজ দিন। একটু লবন দিন।


৪. এবার কুচি করে রাখা ভাপানো কচুর শাক দিয়ে নাড়ুন। নাড়তে থাকুন। কচুর শাক নরম হয়ে গেলে সবুজ ভর্তা টাইপ হয়ে যাবে। এবার ভাজা ইলিশ টুকরোগুলো দিয়ে দিন কচুর ভর্তার সাথে।


৫. এবার ইলিশ মাছগুলোর গায়ে কচুর ভর্তাটা মাখিয়ে দিন। জোরে জোরেই নাড়ুন। ইলিশ মাছ যাতে ভেংগে ভেংগে যায় সেটা খেয়াল করুন। মাছের টুকরো ভাংগা ভাংগা থাকলেই কচু ইলিশের মজা বুঝা যায়। এবার চাইলে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে আরেকটু নেড়ে নামিয়ে ফেলুন। হয়ে গেলো কচু ইলিশ রেসিপি।


ইলিশ না থাকলে মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক রেধে খান।



বেশি বেশি লাল শাক, কচুর শাক, পালং শাক খান। তারুন্য ধরেন রাখুন

Post a Comment

Previous Post Next Post