গালে ব্রণ দূর করার উপায়


 

গালে ব্রণ দূর করার উপায়

গালে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করব গালে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে। অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন এক রাতে ব্রণ দূর করার উপায় জানার জন্য।  আমাদের এই পোস্ট থেকে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় ও মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গালে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো কি কি। 

ব্রণ আমাদের ত্বকের উজ্জ্বল্য এবং সৌন্দর্য কে নষ্ট করে দেয়। আমাদের ত্বকের তৈলগ্রন্থি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর ব্রণের আকৃতি বৃদ্ধি পেতে থাকে, তখন এর ভিতরে পুঁজ জমা হয় এবং ধীরে ধীরে ব্রণ পরিবর্তন করে আকারে বড় হতে থাকে। সাধারণত টিনেজার মেয়েরাই ব্রণের বেশি ভুক্তভোগী। ব্রণ থেকে বাঁচার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে।  বাজার থেকে দামি কসমেটিকস এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যা সহজেই মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করতে পারবেন। 




মুলতানি মাটি

আমাদের ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাবের কারণে মুখে ব্রণের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। গালে ব্রণ দূর করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপায় মুলতানি মাটির ব্যবহার। মুলতানি মাটি পানি দিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগাতে পারেন। মুলতানি মাটি আমাদের ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করতে সহায়তা করে। তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে মুলতানি মাটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।


পুদিনা পাতা

অতিরিক্ত গরমের ফলে আমাদের ত্বকের মধ্যে যেসব ফুসকুড়ি এবং ব্রণ হয়ে থাকে সেগুলো দূর করার জন্য পুদিনা পাতা অনেক উপকারী। গালে ব্রণ দূর করার উপায় গুলোর মধ্যে পুদিনা পাতা অন্যতম একটি প্রাকৃতিক উপাদান। মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে টাটকা পুদিনা পাতা বেটে নিন এবং ব্রণের ওপর ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। যারা গালে ব্রণ দূর করার উপায় জানতে চান, এই উপায়টি বাড়িতে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।


শসার রস

অনেকেই তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় জানতে চান। আপনি কি জানেন? শসার রস তৈলাক্তটা দূর করার জন্য কতটা শসার রস খুবই কার্যকর। বাইরে থেকে আসার পর প্রতিদিন শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। অথবা শসার রস দিয়ে আইস কিউব তৈরি করে রেখে ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে ওপেন পোরসের সমস্যাও কিছুটা দূর হবে। 


শসার রস, চালের গুড়া ও মধু

গালে ব্রণ দূর করার উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে শসার রস, চালের গুড়া ও মধুর ব্যবহার। শসার রস মুখের ব্রণ দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী। অথবা স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করার জন্য অতিরিক্ত করে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিলেই হবে। মধু ব্যবহারে যাদের অ্যালার্জি নেই, তারা চাইলে এই মিশ্রণের সঙ্গে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। গালে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে এই প্যাকটি সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করলেই আপনার ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট দূর করার জন্য এই প্যাক ব্যবহার করুন। তবে খেয়াল রাখবেন, মুখে ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না। 


দারুচিনি গুঁড়া এবং গোলাপজল

মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে দারুচিনি গুঁড়া এবং গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন আপনার ত্বকে। নিয়মিত গোলাপজলের ব্যবহার আপনার ব্রণ থেকে ব্রণের দাগ দূর করে দিবে। গালে ব্রণ দূর করার উপায়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। দারুচিনি এবং গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এই পেস্ট প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন এবং পরে ধুয়ে ফেলুন। ফলে, ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন অনেকটাই। গালে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে এটি কিছুদিন ব্যবহার করে দেখতে পারেন। 


মধুর মিশ্রন ও আপেন

গালে ব্রণ দূর করার উপায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায় হচ্ছে মধুর মিশ্রন ও আপেন। প্রথমে আপেলের পেস্ট প্রস্তুত করে তার মধ্যে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশিয়ে দিন। মিশ্রণটি মুখে লাগানোর পর কিছুসময় অপেক্ষা করুন। এরপর  ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার মুখের টানটান ভাব বজায় থাকবে এবং গায়ের রং হালকা করতে সাহায্য করবে। মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার জন্য এই উপায়টি বাড়িতে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।  গালে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে এই প্যাকটি সপ্তাহে ৫-৬ বার ব্যবহার করুন। এই প্যাক ব্যবহারের পর আপনি নিজেই এর পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন। 


নিম পাতা ও মুলতানি মাটি

৪-৫ টা নিম পাতা ভালো ভাবে ধুয়ে বেটে নিন। এখন এর মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি ও অল্প পরিমাণে গোলাপ জল মিশিয়ে এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। গালে ব্রণ দূর করার উপায়গুলোর এই উপায়টি খুবই সহজভাবে করা যায়। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এর রেজাল্ট দেখতে পাবেন আশা করছি। 


তুলসি পাতার রস

গালে ব্রণ দূর করার উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি তুলসি পাতার রস। একদিনে ব্রণ দূর করার উপায় জানতে চান অনেকেই। একরাতে ব্রণ দূর করা না গেলেও কিছুটা পরিবর্তন দেখতে পাবেন। ব্রণ দূর করার জন্য এই তুলসি পাতা খুবই উপকারী। কারণ তুলসি পাতাতে রয়েছে আয়ুর্বেদিক গুণাবলী। ফলে শুধু তুলসি পাতার রস ত্বকের ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন এবং শুকিয়ে যাওয়ার পোর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গালে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। 



কাঁচা হলুদ ও চন্দনকাঠের গুঁড়ো

ব্রণ দূর করার জন্য কাঁচা হলুদ ও চন্দনকাঠের গুঁড়ো উপাদান দুটি খুবই কার্যকরী। গালে ব্রণ দূর করার উপায়গুলোর মধ্যে টি অন্যতম। সমপরিমাণ কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো বেটে নিন। এরপর দুটি উপাদান একত্রে মিশিয়ে নিন। এবার পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। ত্বকের মধ্যে যেখানে যেখানে ব্রণে আক্রান্ত হয়েছে, সেখানে মিশ্রনটি ব্যবহার করুন কিছুসময় অপেক্ষার পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি নিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি শুধু গালে ব্রণ দূর করার উপায় নয় বরং ত্বক থেকে ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে থাকে। 


ডিমের সাদা অংশ

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ডিমের সাদা অংশ ত্বকের ব্রণে আক্রান্ত জায়গায় ম্যাসেজ করে রেখে দিন সারারাত। গালে ব্রণ দূর করার উপায়গুলোর মধ্যে একটি সবচেয়ে সহজ। ডিমের সাদা অংশ আপনার ত্বকের খসখসে ভাব দূর করতে সাহায্য করবে তবে এর সাথে যদি লেবুর রস যোগ করে নিতে পারেন তাহলে অনেক ভালো হয়। আপনি এটি আধ ঘণ্টা পরেই ধুয়ে নিতে পারেন। এক রাতে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবেও এই প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। 



একদিনে ব্রণ দূর করার উপায়

টিনেজার এবং তরুণদের মুখে বেশি যে সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে সেটি হচ্ছে ব্রণ। তবে শুধু নির্দিষ্ট বয়সেই ব্রণ হয়ে থাকে, এমন নয়।  যেকোনো বয়সের নারী-পুরুষেরই ব্রণ হতে পারে। আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করার জন্য তবে এই সমস্যাটি দায়ী। মুখের ব্রণের সমস্যায় পড়লে অনেকেই জানতে চান একদিনে ব্রণ দূর করার উপায় কি? আপনিও যদি তাদের মতোই একদিনে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচের উপায়গুলো বেছে নিতে।



মুখে ছোট ছোট ব্রণ কেন হয়?

ব্রণ আমাদের ত্বকে অবস্থিত ফলিকলের একপ্রকার দীর্ঘমেয়াদী রোগ। ব্রণের রোগটি খুবই স্বাভাবিক। ব্রণের অনেকগুলো নাম রয়েছে। বিজ্ঞানের ভাষায় আমাদের দেহের সেরাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেরাস নামের একটি তৈলাক্ত পদার্থ বের হয়ে থাকে। এই তৈলাক্ত পদার্থই হচ্ছে ব্রণ, পিম্পল বা অ্যাকনি। ইংরেজিতে ব্রণকে বলা হয় অ্যাকনি ভালগারিস (Acne vulgaris)।


আমাদের ত্বকের সমস্যাগুলো মধ্যে সব থেকে বেশি হয়ে থাকে ব্রণ সমস্যা। মুখের ছোট ছোট ব্রণ আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। মুখে ছোট ছোট ব্রণ হওয়ার কারণ গুলো নিচে দেওয়া হল। 


  • বয়সন্ধিকালে আমাদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ধরনের হরমোনের ক্রমহ্রাস  ঘটে থাকে। হরমোনের এই তারতম্য হওয়ার কারণে আমাদের মুখে ছোট ছোট ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়।

  • স্টরয়েড জাতীয় খাবার পাওয়ার কারণে ও স্টরয়েড জাতীয় বিভিন্ন সেবন করার কারণে আমাদের হরমোনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলস্বরূপ আমাদের মধ্যে ছোট ছোট ব্রণ ওঠে। 

  • বংশগত কারণেও হরমোন সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে বাবা-মায়ের ব্রণের সমস্যা থাকলে পরবর্তীতে সন্তানের মুখে ও ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়।

  • মুখমন্ডলে বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করার কারণেও ব্রণের সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে মহিলারা বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করে ব্রণের সম্মুখীন হন। 

  • মুখের ছোট ছোট ব্রণ সমস্যা দেখা দেয় ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার কারণে। এ ধরনের খাবার আমাদের ত্বকের তৈলাক্ততা বৃদ্ধি করে এবং মুখে ব্রণ 

  • মুখের ছোট ছোট ব্রণ সমস্যা দেখা দেয় ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার কারণে। এ ধরনের খাবার আমাদের ত্বকের তৈলাক্ততা বৃদ্ধি করে এবং মুখে ব্রণ সমস্যার দেখা পাওয়া যায়। 

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমা না হওয়ার ফলেও আমাদের মুখে ছোট ছোট ব্রণ হয়ে থাকে। ঘুম ও হতাশা দুশ্চিন্তা বেশি করার কারণ আমাদের ত্বকে ব্রণ হতে পারে। 

  • মুখের ছোট ছোট ব্রণের জন্য দায়ী একপ্রকার তৈলাক্ত ক্রিম ও ফেইসওয়াশ। 

  • জন্মনিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন ধরণের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও গর্ভাবস্থার কারণে আমাদের ত্বকে ব্রণের দেওয়া পাওয়া যায়।

  • নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না করার কারণে আমাদের ত্বকে ধুলাবালি ও বিভিন্ন ধরণের জীবাণু দ্বারা সংক্রমণ ঘটে থাকে। যার ফল স্বরূপ আমাদের মুখের ছোট ছোট ব্রণ।

  • ত্বকের তৈলাক্ততা বেশি হলে মুখে  ব্রণ দেখা দেয়।

  • অতিরিক্ত আকারে ট্রান্সপারেন্ড জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকে ব্রণ উঠে থাকে। 





তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় 


  • গ্রিন টি

গরম পানির মধ্যে গ্রিন টি ফোটান। এবার গরম পানিতে ফোটানো সেই গ্রিন টি একদম ঠাণ্ডা করে ব্রণের জায়গাগুলোতে ব্যবহার করুন। তুলায় ভিজিয়ে ব্রণের উপর ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ত্বকের উপর  ভালো করে মিশতে পারবে গ্রিন চায়ের মিশ্রণটি। যদি আপনি টি ব্যাগ থেকে গ্রিন টি তৈরি করেন, তাহলে গরম পানিতে ফোটানোর পর টি ব্যাগটি ঠাণ্ডা করে আপনার ত্বকের উপর রাখতে পারেন। ২০ মিনিট অপেক্ষার করুন এরপর ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে এই উপায়টি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। 



  • শসা

শসাতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। শসাতে থাকা প্রতিটি উপাদানই ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। শসা বেটে মুখের ব্রণের জায়গাতে লাগাতে পারেন। এভাবে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এছাড়াও শসা গোল গোল করে কেটে ১ ঘণ্টার মত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। শসা ভিজিয়ে রাখা পানি খেতে পারেন অথবা ঐ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। 


  • লেবুর রস

তুলোয় করে লেবুর রস ব্রণের জায়গাতে লাগাতে পারেন। লেবুর রসের সাথে দারুচিনি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। হালকা গরম পানি দিয়ে সকালে মুখ ধুয়ে নিন। 


  • রসুন

ব্রণের বড় শত্রু রসুন। তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে এই উপায়টি ব্যবহার করাও খুবই সহজ। ১-২ কোয়া রসুন ২ টুকরা করে কেটে নিন এবং রসুনগুলো ব্রণের জায়গাগুলোতে লাগান। লাগানোর পর ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই উপায়টি ব্যবহার করলে সকালে ত্বকের উন্নতি দেখতে পাবেন।



এক রাতে ব্রণ দূর করার উপায়


  • হলুদ ও তুলসির প্যাক

তুলসি পাতার জাদুকরি উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা। অন্যদিকে হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-সেপটিক গুণাগুণ। এই দুটি উপাদানকে একসাথে মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন এক রাতে ব্রণ দূর করার ওষুধ। 


  • প্যাকটি তৈরি করার নিয়ম

প্রথমে কাঁচা হলুদ বেটে নিন ২ চামচ। আবার ২০-২৫ টি তুলসি পাতা পানি দিয়ে ভালো করে ধোয়ার পর বেটে নিন। এখন ২টি উপাদানকে একসাথে মিশিয়ে প্যাকটি তৈরি করুন। প্যাকটি ব্রণের উপর ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে যাওয়ার পর ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি প্রতিদিন অন্তত ৩ বার ব্যবহার করুন। 



  • নিম ও গোলাপজলের প্যাক

নিমপাতা আমাদের ত্বকে অ্যান্টি-সেপটিক হিসেবে কাজ করে থাকে। অনদিকে গোলাপজল আমাদের ত্বককে স্নিগ্ধ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। 


  • প্যাকটি ব্যবহার করার নিয়ম

নিমপাতা ও গোলাপজলের মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য প্রথমে নিমপাতা সহ গোঁটা পাঁচেক নিমের ডাল ভেঙ্গে নিতে পারেন। এবার পাতাগুলো ভালো করে ধুয়ে ২ মিনিট পানিতে ফোটান। ফোটানো নিমপাতাগুলো ব্লেনড করে নিন। এর সাথে ২ চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিয়ে প্যাকটি তৈরি করুন। প্যাকটি আপনার ত্বকের ব্রণের উপর ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। 



  • মধুর জাদু

বিভিন্ন ধরণের আয়ুর্বেদিক ওষুধে মধুর ব্যবহার অন্যতম। মধুতে রয়েছে নানা রকমের ব্যাকটেরিয়া দূর করার শক্তি। 


  • প্যাকটি ব্যবহার করার নিয়ম

১ চা চামচ খাঁটি মধুতে অল্প করে তুলো দিয়ে ভিজিয়ে ব্রণের উপরে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহার করলেই ত্বকের ব্রণ দূর হতে শুরু করবে। 


  • চন্দন

বিভিন্ন প্রদাহ, ব্যাথা ও ক্ষত সারাতে চন্দনের ব্যবহার সম্পর্কে বলা আছে আয়ুর্বেদে। বাড়িতে চন্দনপাটা থাকলে  চন্দনকাঠ ঘষে চন্দন বের করে নিতে হবে। চন্দনপাটা বাড়িতে না থাকলে চন্দনগুঁড়ো ব্যবহার করা যেতে পারে। গোলাপজলের সাথে বা সাধারণ পানির সাথে  চন্দনগুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। মিশ্রণটি ত্বকের ব্রণের উপর ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে নিন। 


  • লেবুর পানি

লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। প্যাকটি তৈরি করার জন্য ২টি পাতিলেবু ভালো করে চিপে রস বের করে নিন। এর সাথে ২ চাপছ পানি মিশিয়ে নিন। এবার তুলো দিয়ে ভিজিয়ে ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। খুব দ্রুত ব্রণ শুকিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সেনসিটিভ ত্বকের ক্ষেত্রে লেবুর রস এড়িয়ে চলতে হবে। 




অনেকেই ব্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ভুগেন। কোন ভাবে এর থেকে দূর হতে না পেরে ইন্টারনেটে খুঁজে থাকেন গালে ব্রণ দূর করার উপায়, একদিনে ব্রণ দূর করার উপায়, এক রাতে ব্রণ দূর করার উপায়, তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় ও মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার উপায় সহ অনেককিছু। আমাদের আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে গালে ব্রণ দূর করার উপায় নিয়ে। আপনারা যারা এই সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজছেন। তাদের জন্য আজকের পোস্টটি খুবই উপকারে আসবে। আমাদের গালে ব্রণ দূর করার উপায়টি যদি আপনার কোন উপকারে এসে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে পারেন।







Post a Comment

Previous Post Next Post