লেবুর খোসা এর উপকারিতা

লেবুর খোসা এর উপকারিতা


লেবু খেতে সবাই পছন্দ করে। গবেষণা বলছে, লেবুর রস যেমন উপকারী তেমনই লেবুর খোসাও সুস্বাস্থ্য়ের জন্য উপকারী। ভাবছেন তো কীভাবে? লেবুর রস তো না হয় খেয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু খোসা কীভাবে খাওয়া যায়?

 সংক্ষেপে জেনে নেই এতে কী কী উপাদান থাকে, এরপর বিস্তারিত -


নাম: লেবু খোসা 

উত্তর ভারতে আদি নিবাস এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং বিশ্বের অন্যান্য গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশেও এর চাষ হয়।

প্রধান পুষ্টি ভিটামিন সি (8.56%)

মোট ডায়েটারি ফাইবার (1.58%)

ক্যালসিয়াম (0.80%)

ভিটামিন বি 6 (পাইরিডক্সিন) (0.77%)

কার্বোহাইড্রেট (0.74%)

চলুন জেনে নেওয়া যাক লেবুর খোসা থেকে কী কী উপকার পাওয়া যায়-


লেবুর খোসায় ভিটামিন সি ও সাইট্রিক এসিড থাকে। যা মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিস সহ একাধিক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

লেবুর খোসায় সিট্রাস বায়ো ফ্লেভোনয়েড থাকে। এটি একটি এন্টি অক্সিডেন্ট তাই বয়স ধরে রাখতে ও স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। বিষাক্ততা দূর করে।

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবুর খোসা খুবই উপকারী। কারণ লেবুর খোসায় এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বক থেকে টক্সিক বের করে দেয়। চামড়ায় ঝাপসা চিহ্ন ও গাঢ় দাগ দূর করতে।

লেবুর খোসায় সালভেস্ট্রল কিউ ৪০ ও লিমোনিন থাকে। যা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়াল ও ছত্রাক সংক্রমণের প্রকোপ কম করে।

নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে সাইট্রিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

লেবুর খোসায় পেকটিন নামে একটি উপাদান থাকে, এটি শরীরের ফ্যাট বার্ন করে।

কিভাবে খাব-

অনেক সময় চিকিৎসকরাও লেবু খাওয়ার পাশাপাশি লেবুর খোসার কুঁচি খাওয়ার পরামর্শ দেন।


লেবুর খোসা এর উপকারিতা

১/ অনেকেই লেবুর খোসা থেঁতো করে সেই রস জলে মিশিয়েও খেয়ে থাকেন।
২/ চানাচুর বা বানানো ঝাল মুড়ির সাথে অনেকে তাজা লেবুর খোসার কুচি মিশিয়ে খান।
৩/ ডাল / হালিম রান্নার পর পরিবেশনে লেবুর খোসার কুচি দেয়া যায়। গরম ডালে/হালিমে দিলে এতে অবশ্য ভিটামিন সি অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু অন্যগুলো ঠিক থাকে। সেহেতু কাঁচা খাওয়ার উপকারিতাই বেশি।

লেবুর খোসা এর উপকারিতা


প্রিয় সুহৃদ, লেবুতে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে তার চেয়ে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি থাকে লেবুর খোসায়। ১০০ গ্রাম লেবুর খোসায় থাকে প্রায় ১৩৪ এমজি ক্যালসিয়াম, ১৬০ এমজি পটাশিয়াম, ১২৯ এমজি ভিটামিন সি এবং ১০.৬ গ্রাম ফাইবার। ফলে চিকিৎসকরা লেবুর খোসা খেতে উৎসাহিত করে থাকেন।

আরো কিছু তথ্য পেলাম।



হার্টের উন্নতি


লেবুর খোসার পলিফেনল উপাদান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।


রক্ত সরবরাহের উন্নতি

লেবুর খোসা খেলে সারা শরীরে রক্ত সরবারহ বাড়তে শুরু করে। ফলে দেহের প্রতিটি কোণায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে সব ধরনের রোগই দূর হয়।

লিভার ফাংশনে উন্নতি

নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে, লিভারের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে।

স্ট্রেস কমে

লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড শরীরের ভেতরে প্রবেশ করার পর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে মন, মস্তিষ্ক এবং শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

হাড় শক্ত হয়

প্রচুর ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকায় ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

ওজন কমে

পেকটিন প্রচুর মাত্রায় থাকায় ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কারণ এ উপাদান শরীরে থাকা অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে ফেলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

ত্বকের সৌন্দর্য

লেবুর খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে বকের বয়স কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা কমে ত্বক টানটান হয়ে ওঠে।

Post a Comment

Previous Post Next Post