কোন কোন খাবার ফ্রিজে রাখা যাবে না?



আধুনিক জীবন যাত্রার কাঠামোয় ফ্রিজের ব্যবহার কতটা হেল্পফুল তা আমাদের সকলেরই জানা আছে। কিন্তু আমরা খুব কমই জানি যে কিছু খাবার আছে যেসব ফ্রিজে রাখলে সেসবের স্বাদ ও পুষ্টিগুন নষ্ট হয়। পুষ্টি গুন কমে যাওয়ার পাশাপাশি সেসবের পঁচন প্রকিয়াও ত্বরান্বিত হয়। বাজি ধরে বলতে পারি, এই লেখায় উল্লেখিত খাবারগুলো কখনো ফ্রিজে রাখা উচিত নয় জেনে আপনি বিস্মিত হবেন। 

আসুন জেনে নেওয়া কী সেই খাবারগুলো যেগুলো কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।


টমেটোঃ টমেটো ফ্রিজে রাখলে সেগুলো নিস্তেজ ও স্বাদহীন হয়ে পড়ে। সুতরাং জানালার ধারে খোলা কোনো কন্টেইনারে টমেটো সংরক্ষণের করা উচিত। তাহলেই সেগুলো তাজা ও রসালো থাকবে।



আলুঃ আলু ফ্রিজে রাখলে এর ভেতরে থাকা শ্বেতসার ভেঙ্গে যায় এবং নরম হয়ে পড়ে। ফলে এর স্বাদ নষ্ট হয় এবং খেতে বালুর মতো লাগে। খোলা ঝুড়িতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় আলু।



পেয়াঁজঃ পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখতে চাইলে কোনো ব্যাগে ভরে মুখ বন্ধ করে এবং সবজির ড্রয়ারে রাখুন। পেঁয়াজ ফ্রিজে না রাখাই ভালো। কেননা ফ্রিজের আর্দ্রতা পেঁয়াজকে স্বাভাবিত স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট করে ফেলে।


মধুঃ মধু সবসময়ই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হয়ভ। ফ্রিজে রাখলে মুধ দানা বেধে যেতে পারে।


রসুনঃ রসুন ঠাণ্ডা এবং শুকনো স্থানে রাখতে হয়। ফ্রিজের আর্দ্রতা রসুনের স্বাদ নষ্ট করতে পারে।


কফিঃ কফি সাধারণত বায়ুনিরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে বলা হয়। ফ্রিজে রাখলে আর্দ্রতা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণে কফি বীজ বা পাউডার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।


পাউরুটিঃ বেকারি বিশেষজ্ঞরা পাউরুটি ফ্রিজে না রাখারই কথা বলেন। ফ্রিজে রাখলে নিম্ন তাপমাত্রার কারণে পাউরুটি শুকিয়ে যায় এবং স্বাভাবিক ভাবে চিবানো অসম্ভভ হয়ে পড়ে।


আপেলঃ আপেলের মিষ্টি ও রসালো স্বাদ অক্ষত রাখার জন্য সবসময় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হবে। ফ্রিজে রাখলে আপেলে স্বাদ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এর চামড়াটাও শুকিয়ে যায় এবং স্বাভাবিক কচকচে ভাবটি হারায়।


ভেষজ তুলসী সহ অন্যান্য ভেষজ ফ্রিজে নয় বরং রান্না ঘরে পানিভর্তি কোনো গ্লাসের জারে রাখুন। তাহলেই ভালো থাকবে।


অন্যান্য ফল কলা, আনারস, অ্যাবোকাডো, স্টোন ফ্রুট- পিচ, চেরি, প্লুম, লেবু ও কমলার মতো সাইট্রাস জাতীয় ফল, বেরিজাতীয় ফল, পিচ, অ্যাপ্রিকোট এবং নেকটারিন।


কেচআপ এবং সয়া সস এগুলো ফ্রিজের বাইরে রাখলেই ভালো থাকবে।


তেল রান্নায় ব্যবহৃত তের স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ই ভালো থাকে। তবে বাদাম তেল ফ্রিজে রাখতে হয়।


আচার আচারও স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হয়।


তরমুজ ফ্রিজে বেশিক্ষণ রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়। তবে কাটার পর তিন থেকে চার ঘন্টা ফ্রিজে রাখা যায়।


বাদামের মাখন ঠান্ডা স্থানে ও আলো থেকে দূরে রাখুন।


জ্যাম এবং জেলি এগুলোও সবসময়ই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হয়।


মশলা ভুমিতে উৎপন্ন মশলা কোনোভাবেই ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়।


বাদাম ও শুকনো ফল ঠাণ্ডা স্থানে ও আলো থেকে দূরে রাখুন।


মরিচ কোনো মরিচই ফ্রিজে রাখা ঠিক না। স্বাভাবিক মাপমাত্রায়ই মরিচ সবচেয়ে ভালো থাকে।


সালাদ ড্রেসিং যে কোনো ধরনের সালাদ ড্রেসিংই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। তবে ভিনেগার বা তেল ভিত্তিক সালাদ ড্রিসিং অবশ্যই ফ্রিজে রাখতে হবে।


শীতকালীন ফল-সবজি কুমড়োসহ শীতকালে উৎপন্ন হয় এমন সবজিজাতীয় ফলও ফ্রিজে রাখলে স্বাদ ও পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায়।


Visite All Of This Website

দৈনন্দিন জীবনের রুটিন তৈরি কেমন হওয়া উচিত?


Post a Comment

أحدث أقدم