একটি অর্থপূর্ণ ছবি |সম্পর্কে ওরা বাবা ও মেয়ে।This is a meaningful picture

 

একটি অর্থপূর্ণ ছবি |সম্পর্কে ওরা বাবা ও মেয়ে।This is a meaningful picture


লোকটির নাম সিমন(Cimon) আর মেয়েটির নাম পেরো(Pero)। সম্পর্কে ওরা বাবা ও মেয়ে। দাঁড়ান, এক্ষুনি কিছু ভেবে বসবেন না। সিমনকে কোনো এক অপরাধের জন্যে শাস্তিস্বরূপ 'অনাহারে মৃত্যুদণ্ড' দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছিলো। পেরো ছিলো সিমনের একমাত্র কন্যা। পেরো তার বাবাকে কারাগারে দেখতে যেতো। যেহেতু, বাবার শাস্তি ছিলো 'অনাহারে মৃত্যুদণ্ড' তাই কারাগাররক্ষীরা পেরোকে কোনো খাবার নিয়ে কারাগারের ভেতরে যেতে দিতো না। মাসের পর মাস পেরিয়ে যায়, সিমন অনাহারে থাকে, কিন্তু তার মৃত্যু হয় না। কারাগাররক্ষীরা অবাক হয়ে গেলো।


এ কী করে সম্ভব। তারা পেরোর উপর নজর রাখতে লাগলো। তারপরে ওরা যা দেখলো সেটা ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন। পেরো তার বাবাকে স্তনদুগ্ধ পান করিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিলো। নিজের চোখের সামনে কী করে পিতার অনাহারে মৃত্যুবরণ সহ্য করতে পারতো।


যাই হোক, ঘটনাটি প্রশাসনের নজরে গেলো। বিচারক সমস্ত ঘটনা শুনলেন। পেরোর মমতাময়ী মাতৃসত্তার কথা জানতে পারলেন। এতো 'কষ্ট' করে পেরো যে বাবাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে, সেই বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্রের থাকতে পারে না - এই কথা ভেবে সবশেষে বিচারক সিমনকে মুক্তি দিলেন।


মেয়েদের এরকম নিঃস্বার্থ মাতৃসত্তার বিবরণ, তা সে গল্পকথা হোক বা সত্য, আর কোথাও পাওয়া যায় না হয় তো। উপরোক্ত ঘটনা কতটুকু কল্পনা মিশ্রিত তা আমার জানা নেই কিন্তু ইউরোপের বড়ো বড়ো মিউজিয়ামে ছবিটা সম্মানের সহিত স্থান পেয়েছে। গল্প ও ছবির প্রেক্ষাপটের সাথে পৌরাণিক কাহিনীর মিশ্রণও পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্রঃ রোমান চ্যারিটি

Post a Comment

Previous Post Next Post