এই ৭ টি নিয়ম জীবনকে শ্রেষ্ঠতর করবে |These 7 rules will make life better


2
বছর বেকার জীবনের পরে, আমি মরিয়া হয়ে একটি চাকরি খুঁজছিলাম। কিন্তু ইন্টারভিউ বোর্ডে, ইন্টারভিউয়ার আমাকে বলেছিলঃ- দুঃখিত, আমাদের অধিক দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোক দরকার। আমি একটি মেয়েকে প্রপোজ করেছিলাম, সে আমাকে বলেছিল, যিনি খুব সুদর্শন তাকে বিয়ে করব, Interesting আকর্ষণীয় এবং তার ক্যারিয়ারে career অত্যন্ত সফল। আপনি একজন ভাল মানুষ কিন্তু আপনি ওই ধরনের না। আমার জীবনের সর্বত্র আমি হতাশার সাথে সংগ্রাম করেছিলাম।আমি ব্যর্থ হয়েছিলাম, প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলাম, এবং অনেকবার অপমানিত হয়েছিলাম। আমি আমার ব্যর্থতাকে মেনে নিয়েছি। আমার জীবনের বিরতি নিয়ে, আমার স্মৃতিকে সতেজ করে, আমার জীবন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।


জীবনকে শ্রেষ্ঠতর করতে  এই ৭ টি নিয়ম ।আমি এক বছর ধরে অনুসরণ করতেছি এই ৭ টি নিয়ম ।


আমার জীবন, আমার নিয়মঃ- 


আমার ক্যারিয়ারকে পছন্দ করার জন্য, আমি সমাজের দ্বারা প্রভাবিত হয় নি। সমাজ পছন্দ করে উচ্চ বেতন এবং নিরাপত্তাযুক্ত চাকরি। অধিকন্তু, সমাজের বেশিরভাগ লোকজন টাকার পিছনে দৌড়াচ্ছে। ক্যারিয়ার এর সকল উপদেশগুলো আমি আমার পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি। তারপর, আমি আমার ভিতরের আত্নাকে অনুসরণ করি। আমার কিছু ইচ্ছা আছে এবং আমি এটার জন্য কাজ করতেছি। ক্যারিয়ার পছন্দ করতে আমি সব সময়, আমার আগ্রহ এবং ত্যাগকে পছন্দ করি। আমি যা ভালবাসি তাই করি। অদূর ভবিষ্যতে কোন অনুশোচনা থাকবে না, কারন আমি আমার কাজের জন্য দায়ী। সবচেয়ে যা ভালবাসি, আমি সে কাজ করা শুরু করেছি।


ধ্যান আমার শক্তিঃ- 


মানসিক শক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবসময় শারীরিক শক্তির উপর ফোকাস করি। কিন্তু মানসিক শক্তি, আমাদের জীবনকে পরিকল্পিত, লক্ষ্য নির্দেশিত করে। আমার জীবনকে সহজ এবং উন্মত্ততা থেকে দূরে থাকতে আমি প্রতিদিন ধ্যান করি। এটা আমাকে মানসিক আরাম এনে দেয়। শত শত বার ব্যর্থতা স্বত্বেও, আমি জীবনের প্রতিটি সমস্যার সাথে যুদ্ধ করছি।স্রোতের বিপরীতে কাজ করতে, ধ্যান আমাকে সাহস ও সংকল্প দেয়।


আর না ভার্চুয়াল জীবন, একমাত্র প্রকৃত জীবনের অস্তিত্ব আছেঃ-


এখন আমি ভার্চুয়াল জীবনের চেয়ে, প্রকৃত জীবনে বেশি জোর প্রদান করি। আমার অনলাইনের কাজগুলোকে সীমিত করেছি। আমি কম্পিউটারের স্ক্রিনের পিছনে এবং স্মার্টফোনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করতাম। সুতরাং, আমি এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করেছি। আমি ইন্টারনেটে কম সময় ব্যয় করি। অধিকন্তু, আমি ভ্রমণ করা, নতুন জিনিস পরীক্ষা, ও অপরিচিত মানুষের সাথে কথা বলা শুরু করেছি।


মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে জীবনকে দেখতে কল্পনা করুনঃ- 


সকল বস্তুবাদি চিন্তা, ভয়, আকাঙ্খা, হতাশা, ব্যর্থতা মৃত্যুর পূর্বে অর্থহীন মনে হবে। একদিন অবশ্যই আমরা মরে যাব। সুতরাং, কিসের জন্য অপেক্ষা? আপনার জীবনের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তটি নিন, অন্যজনের অনুমোদনের জন্য কখনো অপেক্ষা করবেন না। একটা সঠিক সিদ্ধান্ত, আপনার জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। যখনি আমি কোন সমস্যার ভিতর থাকি, আমি এইভাবে চিন্তা করার চেষ্টা করি। তারপর, সবকিছু আমার কাছে পরিষ্কার মনে হয়। আমি সঠিকটি নির্বাচন করি।


ইদুর-দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে আনাঃ- 


আমি জীবনের ইদুর দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে এনেছি। এটার অর্থ এই না যে, আমি জীবনের অসুবিধাগুলোর সাথে হেরেছি। আমি অন্য লোকের সাথে প্রতিযোগিতা করা পছন্দ করি না। আমার সকল প্রতিযোগিতা, আমার নিজের সাথে। প্রতিদিন আমি আমার বিগত দিনের পারফর্মেন্স এর উপরে যাওয়ার চেষ্টা করি। আমি আমার ইচ্ছার পিছনে দৌড়াচ্ছি। আমার লক্ষ্যে পৌছতে, আমি সংকল্পবদ্ধ।


সাহায্য করার জন্য অজ্ঞাতপরিচয়(anonymous) হওয়াঃ-


আমি নামহীনভাবে সাহায্য করতে ভালবাসি। এটা আমাকে আনন্দ দেয়। অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ, আমি সবসময় লোক দেখানো এড়িয়ে চলি। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও, আমি গরীব ছেলে মেয়েদের পরিবারে অজ্ঞাতপরিচয়ে অর্থ প্রদান করতে ভালবাসি। দান করা এবং সাহায্য করা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অংশ। আমি ওই সকল গরীব ছেলেমেয়েদের হাসিমুখ দেখে অত্যধিক খুশি অনুভব করি।


প্রতিদিন ১০ টি কৃতজ্ঞতা লিস্ট লেখাঃ- 


আমি জীবন থেকে যা কিছু পেয়েছি, সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রতিদিন, আমার জার্নালে ১০ টা কৃতজ্ঞতা লিস্ট লিখি। আমি বেঁচে আছি, সুস্বাস্থ্য আছে, খাওয়ার জন্য ফ্রিজে খাবার আছে, বসবাসের জন্য একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করেছি, এমবিএ ডিগ্রি এবং চাকরি আছে, স্বাধীন জীবনযাপন করছি, অপরিচিত মানুষদের কাছ থেকে আশীর্বাদ পায়, জীবনের লক্ষ্য পেয়েছি, ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছি, পড়ার জন্য শত শত বই আছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post