কোকা-কোলা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই উপকারী নয়। তার মানে আবার এও নয় যে, মাঝে মধ্যে কোকা-কোলা খেলেও শরীরের দারুণ ক্ষতি হয়ে যাবে। আর যদি তেমন বলা হয়, তা হলে সত্যের অপলাপ হবে। তাই আমার মনে হয় অতিরিক্ত কোনও কিছুর মতোই প্রচুর কোকা-কোলা খাওয়াও ভাল নয়। তবে অল্প-বিস্তর খাওয়া চলতেই পারে, আর তাতে দারুণ ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। এর পরেও যে প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে তা হল, জেনে শুনে আপনি কোকা-কোলা খাবেনই বা কেন! শুধু মাত্র বিজ্ঞাপনী চমক ছাড়া এতে তো অন্য কোনও উপকারী উপাদান তো কিছুই নেই।
কোকা-কোলা ঠিক কী
কোকা-কোলা বা ওই জাতীয় নরম পানীয় আদতে কার্বোনেটেড ওয়াটার বা জলে মেশানো কার্বন ডাই অক্সাইড। স্বাদ মিষ্টি করার জন্য তাতে চিনি দেওয়া থাকে। আর তার সঙ্গে দেওয়া থাকে প্রিজারভেটিভ ও অন্য কিছু স্বাদবর্ধক উপাদান।
ক্ষতি
অ্যাসিড- কার্বন ডাই অক্সাইড জলের সঙ্গে মিশে যে অ্যাসিড তৈরি করে তা দাঁতের পক্ষে ক্ষতিকর বলে জানা গেছে। এতে ফসফোরিক অ্যাসিডও থাকে যা শরীর থেকে ভিটামিন ও বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান দেহ থেকে প্রস্রাবের আকারে বের করে দিতে শুরু করে।
চিনি- এই পানীয়তে থাকা অতিরিক্ত চিনি দাঁতের ক্ষয় থেকে শুরু করে স্থুলতা-সহ বেশ কিছু সমস্যার কারণ। তাই কোকা-কোলা খাওয়ার পর একবার ব্রাশ করে ফেলতে পারলে ভাল।
ক্যাফিন- কোকা-কোলার সবচেয়ে ক্ষতিকারক উপাদান সম্ভবত ক্যাফিন। স্বাদ সুস্বাদু করার জন্য এই রাসায়নিকটি এতে মেশানো হয়। ক্যাফিনের ক্ষতিকর ভূমিকার মধ্যে অন্যতম হল হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করা। এখন কফিতেও ক্যাফিন থাকে। আর তার পরিমাণও খুব একটা কম নয়। মানুষ তো কফি খান।
ক্লাস ফোর ক্যারামেল কালার- কোকা-কোলাকে দেখতে আকর্ষণীয় করার জন্য যে কৃত্রিম রঙ মেশানো হয় সেই ক্যারামেল কালার কার্সিনোজেনিক (ক্যান্সার ঘটাতে পারে) বলে জানা গেছে। তবে এতে এই কৃত্রিম রঙের পরিমাণ এতই কম থাকে যে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও খুব কম।
মিনারেলস- কোকা-কোলাতে ক্ষতিকর মাত্রায় সীসা, ক্যাডমিয়াম, অ্যান্টিমনি ও ক্রোমিয়াম, পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যে ১০টি পদার্থের কথা জানিয়েছে, তার শীর্ষে আছে সীসা ও ক্যাডমিয়াম।
إرسال تعليق