নক্ষত্রগুলো সাধারণত অনেক দূরে অবস্থিত থাকে। মোটামুটি ৫ আলোকবর্ষ দুরে। তাই এগুলোর ধাক্কা খাওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। তারপরও যদি কখনও সংঘর্ষ হয় তাহলে পরিণতি কি হবে তা মূলত সেই নক্ষত্রদ্বয়ের ভর, গতি, আকৃতির উপর নির্ভর করে। এসব সংঘর্ষে যা হয়ঃ
১) সাধারণ নাক্ষত্রিক সংঘর্ষ হলে যেমনটা গ্লবিউলার ক্লাস্টার এলাকায় হয়(রেড জায়ান্ট নক্ষত্র), সেরকম হলে নক্ষত্র "নীল স্ট্রাগ্লার" এ পরিণত হয়।
২) উচ্চ গতিসম্পন্ন নক্ষত্রের(যেমনঃ শ্বেত বামন) সংঘর্ষ হলে সুপারনোভা বিস্ফোরণ হয় আর হাইড্রোজেন গ্যাস বের হয়। সেটি আবার নিউট্রন নক্ষত্রেও পরিণত হতে পারে।
৩) নক্ষত্রের সাথে ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষে নক্ষত্রটি ব্ল্যাক হোলে বিলীন হয়ে যায়।
৪) নিউট্রন নক্ষত্রের সংঘর্ষে কিলোনোভা বিস্ফোরণ হয় যা থেকে বড় নিউট্রন নক্ষত্র অথবা ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয়।
৫) একটি নিউট্রন তারকা একটি লাল দৈত্য( রেড জায়ান্ট) নক্ষত্রের ভিতরে পড়তে শুরু করলে তার কেন্দ্রে স্থির হয়ে যায়। নিউট্রন স্টারের পৃষ্ঠের ফিউশন খুব পাতলা স্তরে চলে যায়, বাকি তারা ধরে রাখার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি উত্পাদন করে। একে Thorne-Żytkov অবজেক্টস বলে।
৬) ব্ল্যাকহোল সংঘর্ষ বৃহত্তর কৃষ্ণগহ্বর উত্পাদন করে এবং তাদের পূর্বের ভরগুলির একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ হিসাবে বাইরে সরিয়ে দেয় যা আমরা কোটি কোটি আলোকবর্ষেরও বেশি দূর থেকেও সনাক্ত করতে পারি।
সাধারণত প্রতি ১০০০০ বছর পরে এমন সংঘর্ষের ঘটনা দেখা যেতে পারে।
ধন্যবাদ।😊
সূত্রঃ ইংরেজী কোরা, নাসা, উইকি, এস্ট্রোনমি.কম,গুগল।
Post a Comment