কলকাতার একটি নামী সংবাদপত্রের দফতরে কাজ করে পর্ণা। ফিরতে ফিরতে মাঝরাত। ফলে বেলা ১১টার আগে ঘুমই ভাঙে না। তবে সকালবেলা একটু ভাল করে ঘুমোনোর জো আছে নাকি! কারণ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হবে ওর বাবার চায়ের আব্দার। আর ওর মা বারবার চা করতে করতে বিরক্ত হয়ে চেঁচামেচি জুড়ে দেবে। বিষয়টা এতটাই গুরুতর যে, বাড়িতে কেন, গোটা পাড়ার ত্রি-সীমানায় একটাও কাক-চিল থাকে না! এটা শুধু পর্ণার কেন, প্রতিটা বাড়িতেই প্রায় এই দৃশ্য দেখা যায়ই। কারণ চা না হলে সকালে দিনটাই শুরু হয় না আমার-আপনার সকলেরই। তার পর তো সারা দিন চলতেই থাকে- চায়ের (tea) আড্ডা, চায়ে পে চর্চা! মাথা ধরা কমাতে চা, স্ট্রেস কাটাতে চা। সব কিছুর সলিউশন এক কাপ চা (tea)! এমনকি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময়ও আপনি টুক করে এক বার চায়ের দোকানে (tea shop) ঢুঁ মারেন। সারা দিন আপনি হয়তো নিউজে চোখ রাখতে পারলেন না। কিন্তু ওই চায়ের দোকানেই আপনি সব হাঁড়ির খবরই পেয়ে যাবেন। তবে যদি শারীরিক কারণে যদি চা খাওয়া বারণ হয়, তখন কেমন লাগে বলুন তো?
আসলে চায়ে ক্যাফেইন থাকে বলে অনেক সময় চা (tea) খেতে বারণ করা হয়, কিন্তু হার্বাল টি (herbal tea) তো আরামসে খেতেই পারেন। কারণ হার্বাল টি (herbal tea)-এ ক্যাফেইন তো থাকেই না, বরং এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী (good for health)।
Post a Comment