ক্রিকেট

 




ক্রিকেট

ক্রিকেটহচ্ছে ব্যাট বলেরএকটি দলীয়খেলা যাতেএগারোজন খেলোয়াড়বিশিষ্টদুইটি দলঅংশ নেয় এই খেলাটির উদ্ভব হয়ইংল্যান্ডে পরবর্তীতেব্রিটিশ উপনিবেশগুলোসহঅন্যান্য দেশগুলোতেএই খেলাব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার লাভ করেচলছেবর্তমানে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান আয়ারল্যান্ড আন্তর্জাতিকঅঙ্গনে দিনের টেস্টক্রিকেট ম্যাচখেলে থাকে ২০০৫ সাল থেকে জিম্বাবুয়েস্বেচ্ছায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেদেরকেবিচ্ছিন্ন করে রেখে ২০১১ সালেআবার খেলায়ফিরে আসে এছাড়া, আরো বেশ কিছুদেশ ক্রিকেটেরআন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসি' সদস্য টেস্টখেলুড়ে দেশগুলি ছাড়াও আইসিসিঅনুমোদিত আরোদুটি দেশঅর্থামোট ১২টিদেশ একদিনেরআন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেথাকেখেলোয়াড় হিসেবে যিনি ক্রিকেট খেলায়অংশগ্রহণ করেনবা খেলেথাকেন, তিনিক্রিকেটার নামে পরিচিত
ক্রিকেটখেলা ঘাসযুক্তমাঠে (সাধারণতওভাল বাডিম্বাকৃতির) খেলা হয়, যার মাঝে২২ গজেরঘাসবিহীন অংশথাকে, তাকেপিচ বলে পিচের দুই প্রান্তে কাঠেরতিনটি করেলম্বা লাঠিবা স্ট্যাম্পথাকে তিনটিস্ট্যাম্পের উপরে বা মাথায় দুইটিছোট কাঠেরটুকরা বাবেইল থাকে স্ট্যাম্প বেইল সহযোগেএই কাঠেরকাঠামোকে উইকেটবলে
ক্রিকেটেঅংশগ্রহণকারী দুটি দলের একটি ব্যাটিং অপরটিফিল্ডিং করেথাকেব্যাটিং দলেরপক্ষ থেকেমাঠে থাকেদুইজন ব্যাটসম্যান তবে কোন কারণে ব্যাটসম্যানদৌড়াতে অসমর্থহলে ব্যাটিংদলের একজনঅতিরিক্ত খেলোয়াড়মাঠে নামতেপারেতিনি রানারনামে পরিচিত ফিল্ডিং দলের এগারজন খেলোয়াড়ইমাঠে উপস্থিতথাকেফিল্ডিং দলেরএকজন খেলোয়াড়(বোলার) একটিহাতের মুঠোআকারের গোলাকারশক্ত চামড়ায়মোড়ানো কাঠেরবা কর্কেরবল বিপক্ষদলের খেলোয়াড়ের(ব্যাটসম্যান) উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করেসাধারণত নিক্ষেপকৃতবল মাটিতেএকবার পড়েলাফিয়ে সুইংকরে বাসোজাভাবে ব্যাটসম্যানেরকাছে যায় ব্যাটসম্যান একটি কাঠের ক্রিকেটব্যাট দিয়েডেলিভারীকৃত বলের মোকাবেলা করে, যাকেবলে ব্যাটিংকরাযদি ব্যাটসম্যাননা আউটহয় দুইব্যাটসম্যান দুই উইকেটের মাঝে দৌড়িয়েব্যাটিং করারজন্য প্রান্তবদল করেরান করতেপারেবল নিক্ষেপকারীখেলোয়াড়বাদে অন্য দশজন খেলোয়াড় ফিল্ডারনামে পরিচিত এদের মধ্যে দস্তানা বাগ্লাভস হাতেউইকেটের পিছনেযিনি অবস্থানকরেন, তাকেবলা হয়উইকেটরক্ষক যে দল বেশিরান করতেপারে সেদল জয়ীহয়


একদিনেরক্রিকেটে জয়লাভদু'ধরনেরহয়:- () রানের ব্যবধানেএবং () উইকেটের ব্যবধানে
ব্যাটিংদলের উদ্দেশ্যহচ্ছে যতবেশি যত দ্রুতপারা যায়রান করা রান হয় যখন উভয়ব্যাটসম্যান উইকেটে নিজেদের মধ্যে প্রান্তপরিবর্তন করেন (সাধারণত ব্যাটসম্যান বল মোকাবেলারপরই রাননিতে চেষ্টাকরেন, তবেএটি জরুরিনয়) এছাড়া ব্যাটসম্যানযদি বলকেমাঠের সীমানারবাইরে পাঠিয়েদিতে পারেনতখনও রানহয়যদি মাঠস্পর্শ নাকরে বলসীমানার বাইরেচলে যায়তবে ছয়রান এবংমাঠ স্পর্শকরে সীমানাপার হলেচার রানদেয়া হয় এছাড়া বোলার নিয়ম মোতাবেকবল নাকরলেও রানদেয়া হয়


বর্ণনা

বোলিংদলের উদ্দেশ্যহচ্ছে ব্যাটিংদলের সবব্যাটসম্যানদের আউট (উইকেট, অথবা ডিসমিসালনামেও পরিচিত) করে দেয়া ব্যাটসম্যান বিভিন্নভাবে আউট হতেপারেসবচেয়ে ভালপথ হচ্ছেবোলারের এমনভাবেবল নিক্ষেপকরা যাতেব্যাটসম্যান বলকে ঠিকমত খেলতে পারেনা এবংবল স্ট্যাম্পেআঘাত করেবেইল ফেলেদেয় ধরনেরআউটকে বোল্ডবলেব্যাটসম্যানেরা যখন দৌড়ে রান নেয়তখন ফিল্ডাররাবল নিক্ষেপকরে ব্যাটসম্যানকর্তৃক ঠিকমতক্রিজে পোঁছারআগেই স্ট্যাম্পথেকে বেইলফেলে দেয়ারচেষ্টা করে এটি রান আউট নামেপরিচিতঅন্যান্য আউটকরার পদ্ধতিরমধ্যে আছেব্যাটসম্যানের মোকাবেলাকৃত বল মাটিতে পরারআগেই ক্যাচধরা যাকট আউটনামে পরিচিতএবং ব্যাটসম্যানেরপায়ে বললাগানোর ফলেএল.বি.ডব্লিউ. বালেগ বিফোরউইকেটের ফাঁদেফেলে আউটকরা হয় কোন বল মোকাবেলা রান নেয়ারপর ব্যাটসম্যানযখন আরকোন রানকরার চেষ্টাকরেন নাতখন বলকে"মৃত (dead)" ঘোষণা করাহয় এবংএর পরিবর্তেআরেকটি বলনিক্ষেপ করাহয়
খেলাটিছয়টি (বৈধ) বলের ওভারেখেলা হয় বিভিন্ন ধরনের খেলায় ওভারসংখ্যারবিভিন্নতা রয়েছেওভার শেষেব্যাটিং বোলিং করাদল প্রান্তবদল করেএবং ফিল্ডিংদলকে বোলারপরিবর্তন করতেহয়এসময় আম্পায়ারদ্বয়তাদের অবস্থানপরিবর্তন করেন
একজনব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলে তারস্থানে আরেকজনব্যাটসম্যান ব্যাট করতে নামেযখন ব্যাটিংদলের দশমব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায় তখনসে দলেরইনিংস শেষহয়দশ জনব্যাটসম্যান আউট হওয়াকে বলে অলআউট(সীমিত ওভারেরক্রিকেটে ইনিংসশেষ হয়যদি কোনদল অলআউটহয় অথবাদল পূর্বনির্ধারিতসংখ্যক ওভারখেলে ফেলে) ইনিংস শেষে ব্যাটিং করাদল ফিল্ডিংএবং ফিল্ডিংকরা দলব্যাটিং করতেনামে
সাধারণতযে দলবেশি রানকরে সেদল বিজয়ীহয়তবে বিভিন্নঅবস্থায় জয়েরসংজ্ঞা বিভিন্নহয়উদাহরণস্বরুপ বলা যায় বৃষ্টির কারণেসীমিত ওভারেরখেলার ওভারসংখ্যা কমিয়েআনা হতেপারে, অথবাডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি অবলম্বন করেবিজয়ী নির্ধারনকরা হতেপারে


ফলাফল

যদি শেষে ব্যাট করা দলের বিপক্ষ দলের করা রানের চেয়ে কম রান করে সবাই আউট হয়ে যায় তবে সে দল "(n) রানে হেরেছে" বলা হয় (যেখানে (n) দুই দলের রানের পার্থক্য নির্দেশ করে)। যদি শেষে ব্যাট করা দল সবাই আউট হওয়ার আগেই বিপক্ষ দলের করা রানের চেয়ে বেশি রান করে তখন সে দল "(n) উইকেটে জিতেছে" বলা হয় (যেখানে (n) ১০ ও জয়ী দলের কতটি উইকেট পড়েছে তার পার্থক্য নির্দেশ করে)।
যেসব খেলায় প্রতি দলের দু'টি ইনিংস থাকে তাদের ক্ষেত্রে যদি কোন দল প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংস মিলিয়ে বিপক্ষ দলের প্রথম ইনিংসের সমান রান করতে না পারে তবে এবং ২য় ইনিংসে সবাই আউট হয়ে যায় তবে বিপক্ষ দলকে আর ব্যাট করতে হয় না ও তারা ইনিংস ও (n) রানে জিতেছে বলা হয় (যেখানে (n) দুই দলের রানের পার্থক্য নির্দেশ করে)।
যদি সব ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর দুই দলের রান সমান হয় তাহলে টাই হয়। প্রতি দলে দুই ইনিংসের খেলাতে টাই প্রায় দেখাই যায় না। গতানুগতিক খেলাতে যদি বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কোন দল জিততে না পারে তবে খেলাটিকে ড্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
যেসব খেলায় একটি দল কেবল একটি ইনিংস খেলে সেসব খেলাতে সাধারণত নির্দিষ্ট সংখ্যক ওভারের বাধ্যবাধকতা দেয়া থাকে। এগুলো সীমিত ওভারের অথবা একদিনের খেলা হিসেবে পরিচিত। এতে যে দল বেশি রান করে তারাই জিতে এবং এই খেলার ফলাফলে উইকেটের কোন মূল্য নেই বলে এসব খেলায় ড্র হয় না। যদি আবহাওয়ার কারণে এই খেলায় সাময়িক বিঘ্ণ ঘটে তাহলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি নামে একটি সূত্রের মাধ্যমে খেলার জেতার লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধারিত হয়। একদিনের খেলার ফলাফল অমীমাংসিত হতে পারে যদি কোন দলই একটি সর্বনিম্ন সংখ্যক ওভার খেলতে না পারে। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণেই সাধারণত এ ঘটনা ঘটে।

খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা

খেলোয়াড়

একটি দল এগারজন খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত হয় খেলার দক্ষতার উপর নির্ভর করে এদেরকে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান অথবা বোলার হিসেবে শ্রেণীবদ্ধকরা যায় যে-কোন ভারসাম্যপূর্ণ দলে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় জন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান এবং চার থেকে পাঁচ জন বিশেষজ্ঞ বোলার থাকে প্রতি দলেই একজন বিশেষজ্ঞ উইকেট রক্ষক থাকে সাম্প্রতিককালে বিশেষজ্ঞ ফিল্ডারেরধারণা চালু হয়েছে এবং সমান গুরুত্ব পাচ্ছে প্রতি দলে একজন অধিনায়ক থাকেন যিনি মাঠে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন
যে খেলোয়াড় বোলিং এবং ব্যাটিং উভয় ক্ষেত্রেইসমান পারদর্শী তিনি অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিচিত যিনি ব্যাটসম্যান উইকেটরক্ষণের কাজে পারদর্শী তিনি উইকেট-রক্ষক কাম ব্যাটসম্যানহিসেবে পরিচিত, যা কখনও কখনও বিশেষ ধরনের অল-রাউন্ডার হিসেবে বিবেচিত হয় সত্যিকারের অল-রাউন্ডার দলের মূল্যবান খেলোয়াড় তবে এদের দেখা কমই মেলে অধিকাংশ খেলোয়াড়ই হয় ব্যাটিং, না হয় বোলিংয়েই বেশি মনোযোগ দেন


আম্পায়ার

প্রতি খেলায় মাঠে দুইজন আম্পায়ারথাকেন যারা খেলা পরিচালনা করেন একজন আম্পায়ার (ফিল্ড আম্পায়ার) বোলার যে প্রান্ত থেকে বল করেন সেই প্রান্তে উইকেটের পিছনে অবস্থান করেন মাঠে তিনিই অধিকাংশ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন অন্য আম্পায়ার(স্কয়ার লেগ আম্পায়ার) মাঠে স্কয়ার লেগ অবস্থানে থাকেন, যাতে তিনি ব্যাটসম্যানকে পাশ থেকে দেখতে পারেন এবং তিনি যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণে ফিল্ড আম্পায়ারকে সাহায্য করেন পেশাদার খেলায় মাঠের বাইরে একজন অতিরিক্ত আম্পায়ার থাকেন যিনি তৃতীয় আম্পায়ার বা থার্ড আম্পায়ার নামে পরিচিত মাঠের আম্পায়ারেরা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রয়োজনবোধে তৃতীয় আম্পায়ারেরসাহায্য নিতে পারেন যিনি টেলিভিশনে পুণঃপ্রচারদেখে সিদ্ধান্ত নেন আন্তর্জাতিক খেলাগুলোতে মাঠের বাইরে একজন ম্যাচ রেফারি থাকেন, যিনি খেলাটি ক্রিকেটের আইনানুযায়ীহচ্ছে কি-না তা পর্যবেক্ষণ করেন

স্কোরার

সাধারণত প্রতিটি দল একজন করে দুইজন স্কোরার নিয়োগ করে থাকে ক্রিকেটের আইন অনুসারে অফিসিয়াল স্কোরার কত রান হয়েছে, কত উইকেট পড়েছে, এবং কত ওভার খেলা হয়েছে তা লিপিবদ্ধ করে রাখে তারা আম্পায়ারের সংকেত দেখে এবং খেলার বিরতিতে আম্পায়ারের সাথে স্কোর মিলিয়ে দেখে তা ঠিক আছে কিনা বাস্তবে স্কোরাররাআরো অনেক ব্যাপার লিপিবদ্ধ করে, যেমনঃ বোলারের বোলিং পরিসংখ্যান, কোন দল কি হারে বোলিং করেছে এবং দলগুলোর বিভিন্ন গড় পরিসংখ্যান ইত্যাদি আন্তর্জাতিক জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় গণমাধ্যমকে বিভিন্ন রেকর্ড পরিসংখ্যান জানতে হয়, তাই ধারাভাষ্যকার, সাংবাদিক সম্প্রচারের জন্য বিভিন্ন সময়ে আনঅফিসিয়াল স্কোরার রাখা হয় অফিসিয়াল স্কোরাররা মাঝে মাঝে ভুল করে, তবে আম্পায়ারের ভুলের সাথে এটির তফা হলো ঘটনার পর এটিকে সংশোধন করা যায়

খেলার মাঠ

ক্রিকেট মাঠ একটি বিশাল বিশাল বৃত্তাকার অথবা ডিম্বাকারঘাসবহুল জমিনের উপর নির্মিত হয় যদিও মাঠের আকারের বেলায় সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই তবে এটির ব্যাস সাধারণত ৪৫০ ফুট (১৩৭ মি) থেকে ৫০০ ফুট (১৫০ মি) এর মধ্যে হয়ে থাকে অধিকাংশ মাঠেই দড়ি দিয়ে মাঠের পরিসীমা ঘেরা দেয়া থাকে যা সীমানা নামে পরিচিত


পিচ

ক্রিকেট খেলার বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে থাকে মাঠের মাঝে যা সাধারণত ছোট করে ছাটা ঘাস অথবা ঘাসবিহীন চতুর্ভুজাকৃতির অংশ এটিকে পিচ বলা হয় পিচের পরিমাপ হচ্ছে ১০ × ৬৬ ফুট (.০৫ × ২০.১২ মি)
পিচের দুইপ্রান্তেতিনটি করে খাড়া কাঠের দন্ড মাটিতে গাঁথা থাকে, যা স্টাম্প নামে পরিচিত স্টাম্পের উপরে দুটি কাঠের টুকরা থাকে যা বেইল নামে পরিচিত, তিনটি স্ট্যাম্পেরউপর দুটি বেইল স্ট্যাম্পগুলোকে সংযুক্ত করে ক্রিকেটে স্ট্যাম্পে লেগে আউট হওয়ার ক্ষেত্রে যেকোন একটি বেইল ফেলা বাধ্যতামূলক তিনটি স্ট্যাম্প দুটি বেইলের সমষ্টিগত সেট নামে উইকেট নামে পরিচিত পিচের একপ্রান্তের নাম ব্যাটিং প্রান্ত, যে প্রান্তে ব্যাটসম্যান দাঁড়ায় এবং অপর প্রান্তেরনাম বোলিং প্রান্ত যেখান থেকে বোলার দৌড়ে এসে বল করে দুটি উইকেটের সংযোগকারী রেখার মাধ্যমে মাঠটি দুটি অংশে বিভক্ত হয়; তার মধ্যে যেদিকে ব্যাটসম্যানব্যাট ধরেন সেদিকটিকেঅফ সাইড এবং যে দিকে ব্যাটসম্যানের পা থাকে সেদিকটিকেবলে অন সাইড অন্যভাবে বলা যায় ডান-হাতি ব্যাটসম্যানের ডান দিক এবং বাম-হাতি ব্যাটসম্যানের বাম দিক হচ্ছে অফ সাইড এবং অন্যটি অন সাইড বা লেগ সাইড
পিচে যে রেখা আঁকা থাকে তাকে বলে ক্রিজ ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন কিনা তা যাচাই করার জন্য ক্রিজ ব্যবহৃত হয় এছাড়া বোলার বৈধ বল করেছেন কি না তা যাচাইয়ের জন্যও ক্রিজ ব্যবহৃত হয়

ম্যাচের গঠন

টস

খেলার শুরুতে মুদ্রার নিক্ষেপের মাধ্যমে কোন দল আগে ব্যাটিং করবে এবং কোন দল বোলিং করবে সেটা নির্ধারণ করা হয় একে টস বলে

ওভার

প্রতি বৈধ বলে একটি ওভারের সফল সমাপ্তি ঘটে ছয়টি বল করার পর আম্পায়ারওভারবলে থাকেন; তাই ওভার নামকরণ করা হয়েছে পিচের একপ্রান্তে অবস্থান নিয়ে বোলার বোলিং করেন ওভার শেষে উইকেটের অপর প্রান্ত থেকে অন্য আরেকজন বোলার বল করার জন্য প্রস্তুত থাকেন এরফলে ফিল্ডিংয়েরঅবস্থান পরিবর্তনসহ স্কয়ার লেগে অবস্থানকারী আম্পায়ারওপরিবর্তন হয়ে উইকেটের পিছনে অবস্থান করেন তবে, ব্যাটসম্যান তার নিজ অবস্থানে থেকেই বোলারকে মোকাবেলা করে থাকেন তখন ব্যাটসম্যানস্ট্রাইকার পিচের অন্য প্রান্তে অবস্থানকারী ব্যাটসম্যাননন-স্ট্রাইকারনামে পরিচিত কোনো বোলার পরপর ওভার বোলিং করতে পারেন না কিন্তু একপ্রান্তে থেকে তিনি অসংখ্য ওভার করতে সক্ষম ৫০-ওভারের একদিনের আন্তর্জাতিকে একজন বোলার সর্বোচ্চ ২০% বা ১০ ওভার এবং ২০-ওভারের টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ২০% বা ওভার করতে পারে তবে, টেস্ট ক্রিকেটে ওভার সংখ্যা অসীম থাকায় ওভার সংখ্যার কোন সীমারেখা নেই


পাওয়ার প্লে

১৯৯১ সালে প্রথম নিয়ম চালু করা হয় তবে সাম্প্রতিকসময় নিয়মের ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এটি শুধুমাত্রএকদিনের ম্যাচে প্রযোজ্য প্রথম ১০ ওভারের পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ দুজন ফিল্ডার ৩০গজ বৃত্তের বাইরে থাকতে পারে এরপর ১৬ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে যেকোনো সময় ব্যাটিং দল ওভার এবং বোলিং দল ওভার পাওয়ার প্লে বেছে নিতে পারে, সময় সর্বোচ্চ জন ৩০ গজের বাইরে থাকতে পারে

ক্রিকেটের ধরন

বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেট খেলা হয়; আন্তর্জাতিক পর্যায়েরপেশাদার ক্রিকেটের মধ্যে টেস্ট, ওডিআই টি২০আই উল্লেখযোগ্য

টেস্ট ক্রিকেট

টেস্ট ক্রিকেট সাধারণত দিনে হয় প্রতি দল দুটি করে ইনিংস খেলে খেলায় রকমভাবে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়

একদিনের আন্তর্জাতিক

একদিনের আন্তর্জাতিকে দুই দল ৫০ ওভার করে ব্যাটিং করে থাকে খেলাগুলোয় সাদা রঙের বল ব্যবহার করা হয়

টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক

টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকক্রিকেট খেলার নবীনতম সংস্করণ এখানে প্রতিটি দল ২০ ওভার করে ব্যাটিং করে

Post a Comment

أحدث أقدم