কোন খাবারে টেস্টোস্টেরন হরমোন পাওয়া যায়?

কোন খাবারে টেস্টোস্টেরন হরমোন পাওয়া যায়? 

সাবার মনে এই প্রশ্ন থাকতে পারে, তবে টেস্টোস্টেরন হরমোন বিশেষভাবে কোন খাবারে পাওয়া যায় না। তবে শরীরে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বাড়াতে সহায়ক পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ডি ও জিঙ্ক বেশ কিছু খাবারে পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি ও জিঙ্ক হলো শরীরে টেস্টোস্টেরন তৈরির মূখ্য উপাদান। যাদের এ দুইটি পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা যায় তাদের শরীরে স্বাভাবিকভাবে টেস্টোস্টেরন লেভেল ও কম থাকে। ভিটামিন ডি ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবারগুলো হলো-

লাল মাংস বা রেড মিট

টেস্টোস্টেরন হরমোন

টুনা মাছ

টেস্টোস্টেরন হরমোন

দুধ

টেস্টোস্টেরন হরমোন

ডিমের কুসুম

টেস্টোস্টেরন হরমোন

ঝিনুক

টেস্টোস্টেরন হরমোন

শেলফিস (কাঁকড়া, চিংড়ি ইত্যাদি)

টেস্টোস্টেরন হরমোন

সব রকমের ডাল

টেস্টোস্টেরন হরমোন

উপরোক্ত খাবারগুলো শরীরে জিঙ্ক ও ভিটামিন ডি এর প্রভাবে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। তবে এমন কিছু খাবার আছে যা শরীরে ইস্ট্রোজেনের উৎপাদন রোধ করার মাধ্যমে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন এর অনুপাত বাড়িয়ে দেয়। সেই খাবারগুলো হলো-সবধরণের ক্রুসিফেরাস ভেজিটেবল ( ব্রকলি,ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি ইত্যাদি), গ্রিন টি, ডালিম/বেদানা, মাশরুম, যব ইত্যাদি।

টেস্টোস্টেরন হরমোন

চিত্রঃ ক্রুসিফেরাস ভেজিটেবলস

ডায়েটে এসব খাবার যোগ করার পাশাপাশি প্রতিদিন সূর্যের আলোতে বেড়ানোর অভ্যাস করাও উচিত। কারণ, ভিটামিন ডি খাবার থেকে চাহিদা অনুযায়ী খুব কমই পাওয়া যায়। সূর্যের আলোই হলো শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করার সবচেয়ে বড় উৎস।

যে সকল খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালোঃ সয়াবিন থেকে প্রক্রিয়াজাত সব খাবার ( টোফু, সয়াবড়ি, সয়াবিন তেল, সয়ামিল্ক ইত্যাদি), তিল, শনবীজ/ফ্লাক্স সিড। এই খাবারগুলো শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ফলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায় তাই এই খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।


Post a Comment

Previous Post Next Post