প্রাচীন সময় থেকেই বিটের বিশেষ কদর রয়েছে। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে নিয়ম করে বিট খেতেন।
(১) রক্তাল্পতা ও আয়রনের ঘাটতি মেটায়
(২) বিটে রয়েছে অতিমাত্রায় নাইট্রেটস। মুখে থাকা ব্যক্টেরিয়ার সংস্পর্শে এসে এই নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে
(৩) ঋতুচক্র সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে বিটের জুস খান। বিটে থাকা আয়রণ নতুন লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে
(৪) বিটে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় ফ্রি রেডিক্যাল এর ক্ষতিকারক দিক থেকে শরীরকে বাঁচায়। ফলে এই সবজি নিয়মিত খেলে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়।
(৫) বিটের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-টিউমার গুণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কোষের হাত থেকে সুস্থ কোষগুলোকে বাঁচায়।
(৬) ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
(৭)বিট খাওয়ার ফলে ব্রেনে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। যারা নিয়মিত বিট খেয়েছে তাদের চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
(৮) যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, উচিত বেশি করে বিটের জুস খাওয়া। বিপাকের সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বাড়ায়
(৯) বিটে ট্রিপ্টোফান ও বিটেইন নামে যে উপাদান থাকে, তা ডিপ্রেশন কাটাতে ভালো কাজ দেয়
গাজরের মধ্যে এমন কিছু গুণাগুণ রয়েছে যা আপনার ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রতিদিন নিয়মিত গাজর খেলে আপনার শরীরে কোনো ধরনর রোগ জীবাণু আক্রমণ করতে পারবে না। নিচে গাজরের কিছু গুণাগুণ দেয়া হলো।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: গাজরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ রয়েছে যার ফলে রক্তে সাদা কণিকা উৎপাদিত হয় যা ক্যান্সার প্রতিরোধের কাজ করে।
হজমে সাহায্য করে: গাজর ফাইবার হিসাবে খুবই ভালো উৎস। যাদের আইবিএস কিংবা এই জাতীয় অসুবিধা আছে তাদের জন্য গাজর খুবই উপকারী। যেহেতু গাজরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে তাই তা হজমে সাহায্য করে।
প্রচুর ফাইবার রয়েছে: আমরা সবাই জানি ফাইবার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই প্রাকৃতিক ফাইবারের বদলে ভুসির ফাইবার খেতে বেশি পছন্দ করেন।
গাজরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই আপনার যদি ক্ষুধার্ত অনুভব করেন তাহলে একটি গাজর খান। এটি হজমের জন্যও যেমন ভালো তেমনি আমাদের শরীরের জন্যও উপকারী।
বয়স কমাতে সাহায্য করে: গাজর পৃথিবীর এমন একটি সবজি যা আপনার বয়স কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া তা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তুলে। যার ফলে আপনাকে দেখতে স্বাভাবিক বয়সের চেয়ে অনেকটাই কম মনে হবে।
জীবানু ধ্বংস করে: গাজর শুধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী না। এটা আমাদের শরীরের সমস্ত রোগ জীবাণু ধ্বংস করতেও সাহায্য করে। তাই বেশি করে গাজর খান এতে আপনার শরীর ও মন দুইটাই সুস্থ থাকবে।
ব্রন কমায়: গাজরের মধ্যে ভিটামিন-এ রয়েছে যা আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন-এ আমাদের মুখের কালো দাগ দূর করে ও ত্বকে ব্রন উঠতে দেয় না।
মেদ ঝরানোঃ পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রাম গাজরে শর্করা রয়েছে ১০.৬ গ্রাম মতো। তুলনায় ফ্যাটের পরিমাণ প্রায় নেই বললেই চলে, মাত্র ০.২ গ্রাম। কাজেই নিত্য খাদ্যতালিকায় গাজর রাখলে মেদ ঝরবে
إرسال تعليق