একটি গ্যাসকে চাপে ও তাপে তরল থেকে বায়বীয়, ঠাণ্ডা থেকে গরম করার খেলা। এই গ্যাসকে বলা হয় রেফ্রিজারেন্ট। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বায়বীয় পদার্থ।
এটিকে প্রবল চাপে তরল করে রাখা হয়। কোনো বায়বীয় পদার্থকে চাপ প্রয়োগে তরল করা হলে সেটির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। একইভাবে চাপ কমালে তাপমাত্রাও কমে যায়। আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলোতে টেট্রাফ্লুরোইথেন নামে একটি গ্যাস ব্যবহার করা হয়, যা দুই ধরনের কয়েলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। খেয়াল করলে দেখতে পাবেন রেফ্রিজারেটরের পেছনের দিকে একটি কয়েল দেখা যায়। যাকে বলা হয় কনডেনসার কয়েল। আর ফ্রিজের প্রতিটি তাকের ভেতরে একধরনের কয়েল থাকে। এগুলোকে ইভেপারেটর কয়েল বলে। দুটি কয়েলের কাজ দুই রকম। ইভেপারেটর কয়েল ভেতরের গরম খাবার থেকে তাপ গ্রহণ করে আর কনডেনসার কয়েল সেই তাপ বাইরে ছেড়ে দেয়। রেফ্রিজারেন্ট পদার্থটি শুরুতে প্রবল চাপে তরল থাকে। রেফ্রিজারেটরের ভেতরের প্রবেশের আগে সেই পদার্থের চাপকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে সেটি তরল থেকে গ্যাসে পরিণত হয় এবং তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। ফলে ফ্রিজের ভেতরে গরম কিছু থাকলে সেটির তাপ বায়বীয় রেফ্রিজারেন্ট শুষে নিয়ে খাবারকে ঠাণ্ডা করে; তবে নিজে গরম হয়। এ জন্য চালু থাকা অবস্থায় রেফ্রিজারেটরের পাশে হাত দিলে কিছুটা উষ্ণতা অনুভূত হয়। এরপর উষ্ণ গ্যাস কমেপ্রসরে আসে এবং সেখানে সেই গ্যাসকে চাপ প্রয়োগ করে বাইরের কনডেনসার কয়েলে পাঠানো হলে সেটি মুক্ত বাতাসে তাপ ছেড়ে আবার তরল অবস্থায় ফিরে যায়। একইভাবে আবারও রেফ্রিজারেটরে প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়া চক্রাকারে চলতেই থাকে।
দেখা যাচ্ছে কম্প্রেসার সব সময় চালু থাকেনা। একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর যখন এটি চালু হয় তখন ফ্রিজে শব্দ উতপন্ন হয়।
Post a Comment