কিটো পদ্ধতিতে অল্প কিছুদিনের জন্য একটি নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। এই ডায়েটে একুশ দিনে ১০ কেজি পর্যন্ত কমানো সম্ভব!
বর্তমান সময়ে কিটো
ডায়েট খুব প্রচলিত একটি খাদ্যাভ্যাস পদ্ধতি।
যার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে শরীরের মেদ ঝরিয়ে ফেলা
সম্ভব। এই পদ্ধতিতে অল্প কিছুদিনের জন্য একটি নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। এই ডায়েট
পদ্ধতিতে একুশ দিনে
১০ কেজি পর্যন্ত কমানো সম্ভব। তবে, কিটো
ডায়েট করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে
হবে।
কী কী খেতে পারবেন
গরু, মুরগি, সবধরনের মাছ, ডিম,
বাটার, পনির, দই, ঘি, বাদাম, হেলদি
অয়েল-যেমন অলিভ
ওয়েল, কোকনাট ওয়েল,
সূর্যমুখী অয়েল, যেকোন
লাল-সবুজ সবজি,
পালং, ব্রকলি, বাধাকপি, ফুলকপি, লাউ, মোটামুটি সবধরনের মসলা, ফলের
মধ্যে জলপাই, অ্যাভোকাডো, স্ট্রবেরি, লেবু খেতে
পারবেন।
কিটোজেনিক ডায়েটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
১. কিটোজেনিক ডায়েট
গ্রহণ করলে শুরুর
দিকে সাধারণ কিছু
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে
পারে। যেমন, পানি
ও লবণের ভারসাম্যহীনতা
২. হঠাৎ কিটো ডায়েট শুরু করলে
শরীরে পানি ও মিনারেলের ভারসাম্য কমে যেতে পারে। ফলে রক্তচাপের কম বেশি হতে পারে। এতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কিংবা
লবণ বাদ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
১. চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কোন কিছু একদম বাদ। কোক, ফলের জুস, কেক, আইসক্রিম, চকোলেট, স্মুদি, যেকোন ধরনের মিষ্টি।
২. আটার তৈরি কিছু, ভাত, পাস্তা, নুডলস, ওটস, কর্নফ্লেক্স সব বাদ।
৩. সবধরনের ফল নিষেধ। সাধারণত অন্যান্য ডায়েটে ফলের জায়গাটুকু থাকলেও কিটো ডায়েটে সেটা নেই। কারণ, ফলে প্রচুর পরিমাণ শর্করা থাকে। আপনি কিটো ডায়েটে মাত্র ২০ গ্রাম শর্করা গ্রহণ করতে পারবেন। অন্যদিকে একটি বড় আপেল থেকেই ২৫ গ্রাম শর্করা পাবেন।
৪. সবধরনের ডাল নিষেধ। ডালে প্রোটিনের পাশাপাশি ভালো পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে।
৫. আলু, মূলা, গাজর, কচু সব বাদ দিতে হবে।
৬. যেকোন ধরনের প্রসেস ফুড একদম বাদ দিতে হবে।
কিটো ডায়েটে কী করতে হয়?
চাল, আটা, চিনি, আলু, দুধ ও সয়াবিন তেলের তৈরি যেকোনো খাবার তিন/চার সপ্তাহ খাওয়া যাবে না। যেমন ভাত, রুটি, পাউরুটি, মিষ্টি, ফাস্টফুড, বাইরের ভাজা-পুড়া, কোল্ড ড্রিংস ইত্যাদি। যেসব ফল স্বাদে মিষ্টি সেগুলোও সাময়িক সময়ের জন্য বাদ দিতে হবে। মোট কথা দুই/তিন সপ্তাহ শরীরকে সুগার ও শর্করা মুক্ত রাখতে হবে।
৩. অতিরিক্ত ফ্যাট
গ্রহণের ফলে কিটো
ডায়েটে হজমের সমস্যা হতে পারে। কারও কারও
কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। তখন ফাইবার জাতীয় সবজি
বেশি করে খেতে
হবে। ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টও ওষুধ
হিসেবে খাওয়া যেতে
পারে। অনেকের আবার
ডায়রিয়াও হতে দেখা
যায়। এমন হলে স্যালাইন ও ওষুধ
খাওয়া যেতে পারে। তবে ২-৩ সপ্তাহ ধরে কিটো ডায়েট
চার্ট মেনে চললে
ধীরে ধীরে তা শরীরের সাথে মানিয়ে যায় এবং পরে আর কোনো সমস্যা হয় না।
Post a Comment