মানব দেহঃ
মানব দেহ দেখতে সরল মনে হলেও এর রয়েছে অনেক অদ্ভুত ও জটিল রহস্য। আজ আমরা জানব তেমনি
কিছু অদ্ভুত তথ্য।
মস্তিস্কঃ
· মস্তিস্ক থেকে স্নায়ু তে তথ্য সেকেন্ডে ১৭০ মাইল এর ও বেশী বেগে
প্রবাহিত হয়।
· মস্তিস্ক ১০ ওয়াট
বাল্বের সমান পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করে।
· রক্তে মিশ্রিত ২০% অক্সিজেন ব্যবহার করে।
· মস্তিস্ক দিনের তুলনায় রাতে বেশি কাজ করে।
· বিজ্ঞানীরা মনে করেন
যারা যত বেশি
স্বপ্ন দেখে তাদের
IQ তত ভালো। এতে চিন্তিত হবার কারন নেই।অধিকাংশ মানুষ
স্বপ্নের কথা ভুলে
যায়।
· কখন কোথায় ব্যাথা পেলাম সব ই মস্তিস্ক বলে দেয়। কিন্তু নিজে ব্যাথা অনুভব
করেনা।
· আমাদের মস্তিস্কের শতকরা ৮০ ভাগ হচ্ছে
পানি।
· আমাদের মস্তিষ্ক দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশি সক্রিয় থাকে।
চুল এবং নখঃ
· আমাদের শরীরের অন্য
যে কোনো অংশের
তুলনায় আমাদের মুখের
লোম বা দাঁড়ি
দ্রুত বড় হয়।
· মেয়েদের চুলের ব্যাস
ছেলেদের চুলের অর্ধেক। অর্থাৎ, ছেলেদের চুল মেয়েদের চুলের তুলনায় ২ গুণ মোটা।
· আমরা যদিও দেখি
প্রতিদিন আমাদের অনেক
চুল ঝরে যায়,
তবুও মানবদেহের একটি চুল গড়ে ৩ থেকে ৭ বছর টিকে থাকে।
· আমাদের ৫ আঙ্গুলের মধ্য মাঝের আঙ্গুল অর্থাৎ মধ্যমার নখ দ্রুত
বাড়ে।
· পায়ের নখের চেয়ে হাতের নখ দ্রুত বাড়ে। কমপক্ষে ৪ গুণ।
অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গঃ
· আমাদের দেহের সবচেয়ে লম্বা অঙ্গ হল আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্র। যদিও নাম শুনে উল্টা মনে হয়।
· হৃদপিন্ড রক্ত সঞ্চালনের জন্য যে চাপ দেয় তাতে ৩০ ফিট দূরে রক্ত
যেতে পারবে।
· মহিলাদের হৃদস্পন্দন পুরুষদের চেতে
দ্রুত।
· মহিলারা পুরুষের চেয়ে
দ্বিগুণ বেশি চোখের
পলক ফেলে।
· আমাদের ডান ফুসফুসের চেয়ে বাম ফুসফুস আকারে ছোট।
· আমাদের পাকস্থলীতে যে হাইড্রোক্লোরিক এসিড পাওয়া
যায় তা ধাতু
গলাতেও সক্ষম।
· বিজ্ঞানীরা এই পর্যন্ত লিভারের প্রায় ৫০০ রকমের কাজ খুঁজে
বের করেছেন।
· আমরা আমাদের বৃহদান্তের বেশ কিছু অংশ ফেলে দিয়েও বেঁচে
থাকতে পারব।
· আমাদের শরীরের সব রক্তনালীকে যদি জোড়া
লাগানো হয় সেটা
দৈর্ঘ্যে আনুমানিক ৬০০০০ মাইল এর মত হবে। আর পৃথিবীর চারপাশে একবার ঘুরে
আসার দূরত্ব হল ২৫০০০ মাইল এর মত। তার মানে
কোনো মানুষের সব রক্তনালীকে জোড়া লাগালে পুরো পৃথিবী ২ বার পেঁচিয়ে নেয়া
যাবে।
· একজন মানুষ সারাজীবন যে পরিমাণ লালা
ক্ষরণ করে তা দিয়ে অনায়াসেই দুইটি মাঝারি সাইজের সুইমিং পুল ভর্তি করে ফেলা যাবে।
· আমাদের জন্মের ৬ মাস আগে থেকেই
আমাদের দাঁত উঠার
প্রক্রিয়া শুরু হয়, যদিও সেটা মাড়ির
বাইরে আসতে আসতে
আমাদের বয়স প্রায়
১ বছর হয়ে যায়।
· গড়ে প্রতি ২০০০
শিশুর মধ্যে একজন
শিশুর জন্মের সময় দাঁত থাকে।
· একটি ভ্রূণ গর্ভে
আসার ৩ মাসের
মাথায় ই তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি হয়ে যায়।
· অনেক বেশি খেয়ে ফেললে দেখবেন আপনি কানে একটু কম শুনছেন।
إرسال تعليق